
।শেখ মুরশেদুল আলম।
চট্টগ্রাম ব্যুরো
পতাকার মূল্য অনেক, কিন্তু বিক্রির দাম অনেক কম। এটা বাঙালির পতাকা। এই পতাকা লাখো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।
এর মধ্যে দেশপ্রেম মিশে আছে।দিন পোহালেই রবিবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
এ দিবসকে সামনে রেখে সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পতাকা ব্যবসায়ীরা
কখনো বা কাঁধে করে আবার কখনো বা ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে বিক্রি করছে বিভিন্ন আকারের পতাকা। তবে অন্য সময়ের চেয়ে
পতাকার কদর একটু বেশি হওয়ায় দাম নিচ্ছেন একটু বেশি। ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই’শ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে এসব
পতাকা। জাতীয় পতাকাসহ জাতীয় পতাকা সম্বলিত মাথায় বাধার বেল্ট, হাতের ব্রেসলেট, গালে ও কপালে পড়ার স্টিকার বিক্রিতে
লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি-এবারের বেচাকেনা। পাড়া-মহল্লা ও বাজার ঘুরে এসব বিক্রি করে ফেরিওয়ালা। অনেকেই মোটরসাইকলে, প্রাইভেটকার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ছেলে মেয়েদের জন্য কিনে দিয়েছেন এসব পতাকা। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পতাকা সহ এসব বিক্রি কিছুটা কমেছে।
নগরীর হালিশহর এলাকার পতাকা বিক্রেতা সোবহানের কাছ থেকে স্কুল শিক্ষক এম সালাম তার ছেলের জন্য পতাকা কিনছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমার ছেলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে, শহীদ দিবসের পতাকার কদরটা সে বুঝতে শুরু করেছে। বিক্রেতার হাতে
পতাকা দেখে আমাকে কিছুতেই ছাড়ছে না, পতাকা তাকে কিনে দিতে হবেই। তাই দাম একটু বেশি হলেও ছেলের পছন্দের পতাকাটা
কিনে দিলাম।

পতাকা বিক্রেতা সাইদুল দেশকে বলেন, ‘আমি শুধু লাভের জন্য নয়, দেশ প্রেম থেকেই পতাকা বিক্রি করি। ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও ডিসেম্বর মাস আসলেই আমি অন্য কাজ ছেড়ে দিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে এনে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি।
তিনি আরো বলেন, একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি
করা হয়। ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী তারিখ পতাকা বিক্রি করে আমার ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হয়। সকল মানুষের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা দিতে পারলে তার স্বার্থকতা আসবে বলেও তিনি জানান