বঙ্গবন্ধু টানেল ভ্রমনের মাধ্যমে উদ্বোধন দিয়ে, নানা আয়োজন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ-উল্লাসের মাধ্যমে হৃদয়ে ৯০ এর গেট টুগেদার মিলনমেলা অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ৯০ বন্ধু আব্দুল আলীমের আবিষ্কৃত পারকি বীচ অতিক্রম করে বেড়িবাঁধ ধরে আনোয়ারার গহিরার পশ্চিম সীমান্তে বঙ্গোপসাগর সীমারেখা ও পূর্বে শঙ্খ নদীর মোহনা ঘিরে অবস্থিত গহিরা প্যারাবন ও সৈকতচর। একপাশে সবুজের সমারোহ এবং অপরপাশে বিশাল সাগরের মহিমা দেখতে দেখতে বন্ধুদের অনেকেই স্বপ্নের জগতে হারিয়ে গিয়েছিলো। গহিরা প্যারাবন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শঙ্খের মোহনা ঘিরে গহিরা বার আউলিয়া এলাকার প্যারাবন ও ঝাউবনে ছেয়ে থাকা সমুদ্র কয়েক কিলোমিটার অঞ্চল রয়েছে দেখার মতো অনেক কিছু প্রকৃতির আলোর সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে অনেক ভ্রমন পিপাসুররা প্রতিদিন দূরদারান্ত থেকে ছুটে আসেন এখানে।
১লা ডিসেম্বর শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টানেল ভ্রমনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গহিরা প্যারাবনে যাওয়া হয় । বিকাল ৩টায় কাপকো সিইউএফএল রোডের দারুচিনি রেষ্টুরেন্টে দুপুরের খাওয়ার পর্ব শেষ হয়। খাওয়ার প্রধান মেনু ছিল আলু গরুর মাংস ও দেশী মুরগী। খাওয়া শেষ করে হৃদয়ে ৯০ এর বন্ধু,কাপকো সিবিএ নেতা মোঃ আবু সাঈদ এর আমন্ত্রণে কাপকো রেষ্টহাউজে চা-নাস্তার পর্ব শেষ করা হয়। চা পর্ব শেষে সিইউএফএল, কাফকো, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি, কোরিয়ান ইপিজেড ও চায়না ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে আনোয়ারার হৃদয়ে ৯০ এর বন্ধু নাছিরের বাড়ীতে নানা রকম মুখরোচক খাবার এবং জমজমাট আড্ডার মধ্য দিয়ে মিলন মেলা শেষ হয়।
হৃদয়ে ৯০ এডমিন – গোফরান কাজী , আলমগীর হায়দার চৌধুরী লিটন ও জিএস শাহাবুদ্দিন সজীব সহ অনেকই ছিল অনুষ্ঠানকে সফল ও স্বার্থক করার পেছনে। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই একটি সফল গেট টুগেদার সুসম্পন্ন হয়েছে। একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান করতে যা যা করার দরকার সবই করা হয়েছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে নৌ-বিহার ও ফ্যামিলি ডে করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।