[ad_1]
করোনাভাইরাস নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে চীনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে-এমন অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্য।
মিসৌরির অ্যাটোর্নি জেনারেল এরিক শ্মিট বলেছেন, চীনা সরকার বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলেছে। এ ভাইরাসের বিপদ ও সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি। যারা সতর্ক করার ছিল তাদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে। এ রোগটি থামাতে তারা সাহায্য করেনি।
এই মামলায় মানুষের জীবন, দুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। চীন অবশ্য বেশ শক্তভাবে অস্বীকার করছে এসব অভিযোগ।
মিসৌরি কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা ঐতিহাসিক একটি আইনি পদক্ষেপ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করে বলেন চীন যেভাবে এই ভাইরাস সামলেছে সেটা পরিষ্কার না। যদিও ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে চীনের প্রশংসা করে।
পরবর্তীতে যখন আমেরিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ হয় তখন ট্রাম্প মতবদল করেন।
আমেরিকা করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এখন পর্যন্ত। যেখানে ৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত। প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টম গিন্সবার্গ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক ভুল করেছে। সেখানে এখন চীনের দিকে আঙ্গুল তোলা নিজেদের ভুল ঢাকারও একটা চেষ্টা।
চীনের অবশ্য দুশ্চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টগুলোতে আইন অনুযায়ী বিদেশি কোনো সরকার সুরক্ষিত। যদি চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয় তবেই বেইজিং থেকে উত্তর দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মারা গেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৯ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এর পর একে একে বিশ্বের ২১০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।
[ad_2]