ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দূর করতে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীদের জ্বর পরিমাপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার কার্যক্রম।
স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তাপমাত্রা পরীক্ষায় এবং বিনামূল্যে তাপমাত্রা জেনে পথচারীরা খুব খুশি । শুধু তাপমাত্রা পরীক্ষা নয়, একই সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাতধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, অপ্রয়োজনে জনসমাগম হয় এমন জায়গায় না যাওয়া, সদ্য বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ।
শৈবাল দাশ সুমন বলেন , করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত জ্বরের সঙ্গে শুকনা কাশি দিয়ে শুরু হয়। জ্বর ও কাশির এক সপ্তাহের মাথায় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য আমরা একটি বুথ স্থাপন করেছি। যাতে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। প্রায় সবার তাপমাত্রাই স্বাভাবিক সীমার মধ্যে। এর ফলে জনমনে করোনা ভীতি কাটছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে জ্বর পরিমাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানান কাউন্সিলর সুমন।