ঢাকা, ২৯ এপ্রিল- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে সিডিসি।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিডিসির অফিস আমাদের কাছে ৮০০ কিট চেয়েছে। তারা খুব উৎসাহী আছে। গতকাল তারা চিঠি দিয়ে এই কিট চেয়েছে। সিডিসির পরিচালক সরাসরি চিঠি দিয়েছেন আমাদের। তারা আমাদের কিট পরীক্ষা করে দেখতে চায়। আমরা আগামী দুই দিনের মধ্যে ৮০০ স্যাম্পল কিট দিয়ে দেব।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলেও (বিএমআরসি) কিট জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএমআরসির কাছে জমা দিয়েছি। তারা বলেছে, পরীক্ষা করে খুব সত্বর তাদের মতামত দিয়ে দেবে।’
ক্ষোভের সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো সফল হলে সরকার গ্রহণ করবে কি-না, সেটা সরকারের ওষুধ প্রশাসনের ব্যাপার। আমার কাজ আমি করে দিচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ যদি নিজের স্বার্থ না বোঝে, আমি কী করব?’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবনের দাবির পর প্রথম ব্যাচ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে কিট উৎপাদনের পর ২৫ এপ্রিল কিট হস্তান্তর করা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওইদিন সিডিসি উপস্থিত থেকে কিট গ্রহণ করে। যদিও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কন্ট্রাক্ট রিসার্চ ফার্ম (সিআরও) ছাড়া কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে রাজি নয়।
অন্যদিকে বেসরকারি সিআরওকে ‘মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিষ্ঠান’ দাবি করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কিট পরীক্ষা করাবে না বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ফলে গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট পরীক্ষা হচ্ছে না। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার জন্য ৮০০ নমুনা কিট চাইল।
সূত্র: জাগোনিউজ