নয়াদিল্লী, ১৯ এপ্রিল – চিনা অধিগ্রহণ করতে পারে ভারতের সংস্থাকে এমন আতঙ্ক মাথাচাড়া দিতে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এফডিআই (বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) নীতিতে পরিবর্তন আনা হলো। এবার থেকে কোনও কোম্পানি যার দেশের সঙ্গে ভারতের একই সীমানা রয়েছে সেই সংস্থা অটোমেটিক এফডিআই রুটে কোনও ভারতীয় সংস্থায় লগ্নি করতে পারবে না। ওই বিদেশি কোম্পানিকে আগে ভারত সরকারের কাছে এই বিনিয়োগের কথা জানাতে হবে।
এই মর্মে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি প্রেস নোট দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য নয়া এফডিআই নীতির কথা বলা হয়েছে। ভারতে এফডিআই করা যাবে দু’ভাবে- একদম অটোমেটিক রুটে যেখানে বিদেশি সংস্থার ভারত সরকারের অনুমোদন দরকার হবে না অথবা সরকারি রুটে যেখানে সংস্থার ভারত সরকারের অনুমোদন দরকার হবে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, সংশোধিত এফডিআই বিধিতে আটকাতে চাওয়া হয়েছে যাতে করোনাভাইরাস অতি মহামারীর কারণে ভারতীয় সংস্থাকে সুযোগ বুঝে অধিগ্রহণ করতে না পারে । মন্ত্রক সূত্রে খবর,সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এফডিআই বিধি সংশোধনের যাতে কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশ বিশেষত চিন করোনাভাইরাস অতি মহামারীর সময় অযৌতিক কোনও সুবিধা না পেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও সংস্থা যার দেশের সীমানা এবং ভারতের সীমানা এক অথবা ভারতে বিনিয়োগের সুবিধাভোগী মালিক হলেন তেমন দেশের নাগরিক সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকারি রুটে বিনিয়োগ করা যাবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এতদিন এফডিআই নীতিতে এইরকম সরকারি রুটের লগ্নির কথা সীমিত ছিল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সব ক্ষেত্রের জন্য। সংশোধিত বিধিতে এবার ঢুকে পড়ল চিনের সংস্থা যাদের সরকারি রুটে লগ্নি করতে হবে।
সম্প্রতি গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থা এইচডিএফসি-তে চিনের পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়নার ১.০১ শতাংশ শেয়ার কেনা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধে ছিল। তাছাড়া ছোট মাঝারি সংস্থাদের একটি সংগঠন করোনা মহামারীতে চিনা অধিগ্রহণের আশঙ্কা করে সরকারকে চিঠি দিতে দেখা গিয়েছে।
তবে সূত্রের খবর এই সংশোধিত বিধি প্রয়োগ হবে না এইচডিএফসি তে চিনা সংস্থান লগ্নির বিষয় যেহেতু সেখানে বিনিয়োগ হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক ১০ শতাংশের কম। সংশোধিত এফডিআই নীতি প্রয়োগ হবে একমাত্র ১০ শতাংশ বা তার বেশি লগ্নির ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষা ,টেলিকম, ফার্মাসিউটিকাল সহ ১৭টি ক্ষেত্রে লগ্নিতে বিদেশি সংস্থার সরকারি অনুমোদন লাগবে যদি নির্দেশিত শতকরার বেশি বিনিয়োগ করা হয়। যদি এফডিআই ৫০ বিলিয়ন টাকার বেশি হয় তখন তা ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকনোমিক আফেয়ারস এর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
সুত্র : কলকাতা ২৪x৭