[ad_1]
বিশ্বেজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে আগেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবার একধাপ সুর চড়িয়ে তিনি দাবি করেন, এ মহামারী বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে চীনকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। খবর আলজাজিরার।
সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় চীনের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চীনের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। ট্রাম্পের মতে, চীন সক্রিয়ভাবে প্রথমেই তা রুখে দিলে, গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ত না এবং মহামারী বাকারে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েও পড়ত না।
হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের উদ্দেশে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা মোকাবেলায় চীন ভূমিকায় আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। গোটা পরিস্থিতি নিয়েও অসন্তুষ্ট আমরা। কারণ আমাদের বিশ্বাস, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণকে গোড়াতেই রোখা যেত। দ্রুত তা করা হলে এভাবে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ত না।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এর পর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।
লকডাউনসহ একাধিক বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এ মহামারীর রাশ টানা যায়নি। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে ৩০ লাখেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার।
তবে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। সে দেশের সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজারেরও বেশি।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের আগেও বহুবার চীনকে দায়ী করেছে। গোটা পরিস্থিতির জন্য ফের চীনকে দুষেছেন তিনি।
শুধু ট্রাম্প প্রশাসনই নয়, এর আগে জার্মানির একটি সংবাদপত্রও সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য চীনকে দায়ী করেছে। এমনকি ওই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়, চীনের উচিত জার্মানিকে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দেয়া।
এদিকে চীনে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নতুনভাবে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানির লাইসেন্স থাকতে হবে। এমনকি বেসামরিক ব্যবহারের জিনিসপত্র রফতানির ব্যাপারেও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
নীতিমালায় হুট করেই পরিবর্তন আসার ফলে চীনে সেমিকন্ডাক্টর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং বেসামরিক বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রফতানিকারকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব উইলবার রোজ এ ব্যাপারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক খাতের জন্য পণ্য কিনে অন্য খাতে ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এসব ব্যাপারে চিন্তা করাটা জরুরি।
[ad_2]