সোমবার, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪

ব্যাংক বন্ধ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিডব্লিউএবির

Must read

এওয়ান নিউজ: করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে দেশের সব ব্যাংক বন্ধ রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডাব্লিউএবি)। অবস্থার উন্নতি হলে ব্যাংকের সীমিতসংখ্যক শাখা সপ্তাহে একদিনের জন্য স্বল্পসংখ্যক জবল দিয়ে চালানোরও নির্দেশনা দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে তারা। বিডাব্লিউএবি সভাপতি কাজী মো. শফিকুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করা হয় বিডাব্লিউএবি’র বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো ব্যাংকারদের সুরক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘জরুরি’ চারটি অনুরোধ করা হয়।

অনুরোধগুলো হলো— করোনাভাইরাস সংকটের এই সময়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যাংকও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া; পরবর্তী সময়ে অবস্থার উন্নতি সাপেক্ষে ব্যাংকের সীমিতসংখ্যক শাখা সপ্তাহে একদিন কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা; ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় সীমিতসংখ্যক লোকবল রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে হাজির থাকার নির্দেশ এবং রোস্টার ডিউটিরত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ ব্যাংক থেকে উপযুক্ত ভাতা প্রদান; এবং কোনো কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে নিজ নিজ ব্যাংককে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া।

দেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে গত ২৬ মার্চ থেকে প্রথম দফায় ১০ দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে দুই দফায় এই ছুটি আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ছুটির মধ্যে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে।

বিভিন্ন ব্যাংক সূত্র বলছে, এই সময়েও তারা সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা থাকায় গ্রাহকের চাপ কমেনি।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article