[ad_1]
দৈনন্দিন কিছু বাজার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে শাকসবজি, মাছ-মাংস অন্যতম। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তাতে নানা রকমের রাসায়নিক যেমন- কীটনাশক, ফরমালিন মেশানো থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ক্ষতিকারক ধুলাবালি ও ময়লা। এগুলোর সঙ্গে রোগ বহনকারী জীবাণু মিশে থাকে।
রাসায়নিক (ফরমালিন) বা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কাঁচা শাকসবজি দেখতেও অনেক তরতাজা মনে হয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদিও আমরা স্বাভাবিকভাবে কাঁচা শাকসবজি ও ফলমূল পানি দিয়ে ধুয়ে খাই কিন্তু শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে খেলে খাবারের ওপর কঠিনভাবে লেগে থাকা দূষিত উপাদান পুরোপুরি সরে যায় না। এর ফলে নানা রোগের সঙ্গে করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারি আমরা।
বাজারে শাকসবজি জীবাণুমুক্ত করতে পাওয়া যাচ্ছে ক্লিনআভা। এটি শাকসবজি ও ফলমূল থেকে রাসায়নিক (ফরমালিন, কীটনাশক ইত্যাদি), ক্ষতিকর পদার্থ (ধুলাবালি ও ময়লা) ও রোগ বহনকারী জীবাণু দূর করে খাবারকে বিশুদ্ধ করে। খাবার নিরাপদ করে। এটি বিসিএসআইআরের উদ্ভাবিত একটি ফর্মুলা।
ক্লিনআভা দিয়ে আপনার খাবার ভালো করে কচলে ধুয়ে নেবেন। এটি দিয়ে ধোয়ার ফলে খাবারের সারফেস পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায়। এটার পদ্ধতি হলো একটি পাত্রে এক লিটার পানিতে ২ মিলি ক্লিনআভা মিশিয়ে দিতে হবে। এতে ১ কেজি সমপরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল ২০-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখেই জীবাণুমুক্ত করা যাবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পানি, ক্লিনআভা, শাকসবজি ও ফলমূল তিনটি ১:২:১ এই অনুপাত রাখতে হবে।
ক্লিনআভা ছাড়াও শাকসবজি জীবাণুমুক্ত করা যায়। বাজার থেকে শাকসবজি আনার পর একটি বড় পাত্রে পানিতে ভিনেগার দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে সেই শাকসবজি। ভিনেগার ভেজানো পানি থেকে উঠিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে সেটা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।
[ad_2]