[ad_1]
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজশাহীর সঙ্গে আশপাশের জেলাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। ফলে কেউ রাজশাহী মহানগরীতে যেমন প্রবেশ করতে পারবে না, তেমনি রাজশাহী থেকে কাউকে বের হতেও দেয়া হবে না।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ফলে রাজশাহী মহানগরী অঘোষিতভাবে লকডাউন করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় ওই সভায় অংশগ্রহণ শেষে বেরিয়ে এসে রাজশাহী-২ (মহানগর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর সঙ্গে আশপাশের সব জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তকে লকডাউন বলা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বাদশা বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলেছি রাজশাহীকে লকডাউন করতে। এটাই লকডাউন।
এদিকে করোনা সংক্রান্ত বিভাগীয় জরুরি এই সমন্বয় সভায় রাজশাহীকে বিচ্ছিন্ন রাখা বা বিচ্ছিন্ন করা প্রসঙ্গে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক বলেন, আমরা এটাকে লকডাউন বলছি না। তবে বলতে পারেন কঠোরভাবে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে একটি কঠোর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়েছে। কেউ রাজশাহীর বাইরে যাবে না, কেউ নগরীতে ঢুকতে পারবে না। সব প্রবেশপথ আপাতত: বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন রোগী বহনকারী যানবাহন বা অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামাদি বহনকারী গাড়ি, সংবাদপত্রের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সদস্য ইত্যাদি এর আওতামুক্ত থাকবে।
অন্যদিকে সভায় উপস্থিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলি এখনো করোনার প্রতিকূল প্রভাব থেকে মুক্ত আছে। তবে চারদিকের পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরিভাবে সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামেও এই একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
[ad_2]