বেঙ্গালুরু, ১৮ মার্চ – মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক তরজায় নয়া মোড়। হোটেলের সামনে থেকে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-কে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। বুধবার সকালেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
কর্ণাটক পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। জোর করে তিনি বেঙ্গালুরুর হোটেলটিতে ঢুকতে চাইলে, তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের সামনেই ধরনায় বসে পড়েন কংগ্রেস নেতা। তাঁকে জোর করে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বুধবার সকালেই বেঙ্গালুরু পৌঁছন তিনি। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। দিগ্বিজয়ের দাবি, তাঁদের বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তাই তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন তিনি।
বেঙ্গালুরুতে অনশনে বসারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে বিকল্প পথ ধরতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য মঙ্গলবারই কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কমল নাথের সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। কারও চাপে নয়, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা। তড়িঘড়ি পাঠানো হয় দিগ্বিজয় সিংকে। কিন্তু, তিনিও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না।
এদিকে, ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন। আপাতত কিছুদিনের জন্য স্বস্তি মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আরও বেশ কিছুটা সময় হাতে পেয়ে গেলেন কমলনাথ। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ ২২ কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়ায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। রাজ্য সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে দাবি করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল সোমবারই বিধানসভায় আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সরকারকে।